একজন মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলের মৃত্যুর পর এত মানুষ তার জন্য কাঁদবে এটা হয়তো তিনি কল্পনাও করেননি। যার দুনিয়ায় মা, বাবা ভাই কেউ নেই, তার জন্য আবার কে কাঁদবে। তাকে নিয়েও যে মানুষ ভাববে এটা হয়তো তিনি মৃত্যুর আগে বুঝতে পারেননি।
ভাত খেতে বসলেই যার কথা মনে পড়ে সেই তোফাজ্জলকে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে জানাজা শেষে নিজ বাড়ি কাঁঠালতলী ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে তার মা-বাবা এবং ভাইয়ের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তোফাজ্জলের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ছুটে আসেন।
তবে সকলের মনের মধ্যেই একটাই প্রশ্ন। ভাতের বিনিময়ে একটি জীবন নিয়ে নিলো ওরা? দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মত একটি প্রতিষ্ঠানে সামান্য মোবাইল চোর সন্দেহে একজন ভারসাম্যহীন মানুষকে এভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারাটা কি ঠিক হলো?
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় এনে কঠোর বিচার করা হোক, যাতে আর কোন তোফাজ্জলদের এভাবে মৃত্যু না হয়। জানাজায় এসে সকলেই বিচার চেয়েছেন এই হত্যাকরীদের। সেই থেকে যারা তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন করেছে তাদেরও যাতে বিচার করা হয় সেই দাবিও করা হয়।
তোফাজ্জলের জানাজা শেষে চরদুয়ানীতে মানববন্ধনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দাবি হত্যাকারীদের এমন বিচার হোক যাতে পৃথিবীর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করতে ভয় পায়।
টিএইচ